Ayman Regular
অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর, class 8 science assignment answer.
* আইসোটোপ কাকে বলে?
* পারমাণবিক সংখ্যা বলতে কী বুঝ?
* উদ্দীপকের ছকে উল্লেখিত z মৌলের 1 পরমাণুতে বিদ্যমান নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয় করো।
* উদ্দীপকের ছকে উল্লিখিত X ও Y মৌলদুটির পরমাণুসমূহের মধ্যে যৌগ গঠন সম্বব – যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।
Share
Md Jalal
ক। আইসোটোপ কাকে বলে?
ans:
যে সকল পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে।
খ। পারমাণবিক সংখ্যা বলতে কী বুঝ?
Ans:
কোন মৌলের একটি পরমাণুতে প্রোটনের সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলা হয়। যেমন অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা ৮ বলতে বুঝায় অক্সিজেনের পরমাণুতে ৮ টি প্রোটন আছে। পরমাণুতে ইলেকট্রন ও প্রোটনের সংখ্যা সমান বলে এতে ৮ টি ইলেকট্রন ও আছে।
গ। উদ্দীপকের ছকে উল্লেখিত z মৌলের 1 পরমাণুতে বিদ্যমান নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয় করো।
Ans:
উদ্দীপকের Z মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা ১৪। কোনো মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা আসলে ঐ মৌলের একটি পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা। তাই এক্ষেত্রে Z মৌলটির পরমাণুতে প্রোটন আছে ৬ টি।
আবার কোনো পরমাণুতে প্রোটন আর ইলেকট্রনের সংখ্যা সমান। তাই Z মৌলটির একটি পরমাণু তে ইলেকট্রন রয়েছে ৬ টি।
কোনো পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রনের সংখ্যা = ঐ মৌলের ভরসংখ্যা।
অর্থাৎ Z মৌলের নিউট্রন সংখ্যা = Z মৌলের ভরসংখ্যা – মৌলের প্রোটন সংখ্যা
অতএব, Z মৌলের নিউট্রনের সংখ্যা = ১৪ – ৬
= ৮
.°. Z মৌলের পরমাণুতে বিদ্যমান নিউট্রন সংখ্যা ৮ ।
ঘ। উদ্দীপকের ছকে উল্লিখিত X ও Y মৌলদুটির পরমাণুসমূহের মধ্যে যৌগ গঠন সম্বব – যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর
Ans:
দীপকের X ও Y মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে ১৭ ও ১১ । অর্থাৎ মৌল দুটি যথাক্রমে সোডিয়াম ও ক্লোরিন ।সোডিয়াম ও ক্লোরিনের পারমাণবিক সংখ্যা ১১ ও ১৭ হওয়ায় এদের ইলেকট্রন সংখ্যা হবে যথাক্রমে ১১ ও ১৭ । সোডিয়াম ও ক্লোরিনের ইলেকট্রন বিন্যাস হলো-
NQ (11) -> 2, 8, 1 এবং CI (17) -> 2,8,7
ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায়, NQ পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ স্তরে ১ টি ইলেকট্রন রয়েছে। নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়ন (Ne) পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করতে পারলে এটি স্থিতিশীল হবে। এ জন্য NQ পরমাণু সর্ববহিঃস্থ স্তরের একমাত্র ইলেকট্রন ত্যাগ করে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত NQ+ আয়নে পরিণত হয় এবং যথেষ্ট স্থিতিশীলতা অর্জন করে। অপরদিকে CI পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ ৭ টি ইলেকট্রন রয়েছে। স্থিতিশীল অবস্থায় আসার জন্য পরমাণুটির একটি ইলেকট্রন দরকার। তাই এ টি NQ পরমাণুর ত্যাগ করে ইলেকট্রন গ্রহণ করে এবং ঋণাত্মক চার্জযুক্ত CI আয়নে পরিণত হয়। বিপরীত চার্জযুক্ত NQ + ও CI আয়নদ্বয় পরস্পরকে আকার্ষণ করে এবং এভাবে সোড়িয়াম ক্লোরাইড (NQCI) যৌগের সৃষ্টি হয়।
অতএব, উপরে আলোচনা হতে বলা যায় যে সৌডিয়াম ও ক্লোরিন
অর্থাৎ, X ও Y দ্বারা যৌগ গঠন সম্ভব।